আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শ্রীরামপুরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম : মৃতদের পরিবারকে সাহায‍্য

23rd May 2020 হুগলী
আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শ্রীরামপুরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম : মৃতদের পরিবারকে সাহায‍্য


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : এতবড় ঝড় আসবে সেটা আমরা আশা করিনি,আয়লা,বুলবুল আমরা দেখেছি কিন্তু এতবড় ঝড় হবে কেউ ভাবতে পারেনি।এতে কারো কোনো ফেলিওর নেই।সরকার প্রশাসন,কাউন্সিলররা সবাই ঝাঁপিয়ে পরছে।মানুষের পাশে আমরা আছি,তৃনমূল আছে।শ্রীরামপুরে বললেন পুর ও নগরউন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।পুর মন্ত্রী বলেন,অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই,সিইএসসি'র সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।চেষ্টা করছে যাতে তাড়াতাড়ি রেস্টোর করা যায়।অনেকের কষ্ট হচ্ছে জানি।একটু ধৈর্য ধরতে হবে।ওড়িশায় দেরমাস লেগেছিলো।জল পাচ্ছে না।পুরসভার চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে জলের গাড়ি পৌঁছে দিতে।বিভিন্ন জায়গায় আজও রাস্তা অবরোধ হয়।সে প্রসঙ্গে পুর মন্ত্রী বলেন,কিছু জায়গায় উস্কানি আছে​​​​​ ।

ঘূর্ণিঝড় রূপি দৈত্যের তান্ডব প্রাণ কেরেছে রাজ্যের অনেকের।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।আজ পুর ও নগরউন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শ্রীরামপুরে এসে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন।আমপানে মৃত শ্রীরামপুরের চাতরার বাসিন্দা রাজেশ্বর পাল ও  লালবাহাদুর শাস্ত্রী রোডের বাসিন্দা উত্তম পাল ঝড়ের রাতে বাড়ি ফেরার সময় বি পি দে ছিঁড়ে পরে থাকা তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান।চুঁচু্ড়া সুকান্ত নগরের বাসিন্দা সঞ্জিব পোদ্দার বাড়ি চাপা পরে মারা যান।বাঁশবেড়িয়া কল্যান নগরের বাসিন্দা পরশুরাম যাদবের ঘরে গাছ পরে।মৃত্যু হয় তাঁর।ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরনের চেক তুলে দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।শ্রীরামপুর মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও,অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রদীপ আচার্য,মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত,বিধায়ক মানস মজুমদার,স্বাতী খন্দকার,স্নেহাশিষ চক্রবর্তী,তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব,চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবির।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।